কুমারখালীর আর্তনাদ

কুমারখালীর আর্তনাদ

মরিচের দামে জ্বলছে সবজির হাট,

মাছের বাজার উত্তাপে চরম তপ্ত।
বয়লার ডিম ধরাছোঁয়ার বাইরে,
বন্যার পানিতে ধান গেছে তলায়।

সবজির গাছ ভেসেছে পুকুরের জলে,
মাছগুলোও পালিয়েছে স্রোতের ঢলে।
মানুষের আচরণে নেমেছে অশান্তি,
মক্কেল-মাতবর চেয়ারে বসে, পা নেড়ে শান্তি।

বেকার যুবক খুঁজছে চুরি-রাহাজানের পথ,
কালীবাড়ির রাস্তায় অলংকার নিলো লুট।
ইয়ামাহা ভার্সন ২ গেলো চর পথে,
থানার পুলিশ ঘুমে ডুবে, কিছুই করেনি রাতে।

গাজার আড্ডায় মাস্তানদের হাট,
সারা রাত চলে তাদের নীরব নাটক।
রাস্তার দুই ধারে ময়লা দুর্গন্ধে ভরা,
কুষ্টিয়া যেতে আজ বড়ই কষ্টের ধারা।

হাজারো দুঃখ জমে আছে বুকে,
কাকে বলবো, নেই কারো সময়।
বিএনপি-আওমি কিছুই করেনি,
আলেম সমাজকে দাও দায়িত্ব, সবুজে ভরে উঠবে সবই।

বিশ্বাস, ভক্তি আমাদের রক্ত-মাংসে,
এই শহরের মাটি বুকে আছে গাঁথা।
তোমরা শুধু ইচ্ছা প্রকাশ করো,
চোর-ডাকাত, সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াও।

আধুনিক শহর গড়বো নতুন আলোয়,
কুমারখালী হবে শান্তির পথে।
তোমরা করো দোয়া, থেকো আমাদের পাশে,
উন্নয়নের আলো ফুটবে এই শহরের আসনে।


-কবি শাব্বির আহমেদ


"কুমারখালীর আর্তনাদ" কবিতার উদ্দেশ্য হলো একটি উপজেলার বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং নৈতিক অবনতি তুলে ধরা। কবিতাটি কুমারখালীর মানুষের দৈনন্দিন জীবনের দুর্দশা, বন্যার প্রভাব, চুরি-রাহাজানি, বেকারত্ব, এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে একটি হৃদয়বিদারক চিত্র এঁকেছে। সমাজের অসংগতি এবং সাধারণ মানুষের কষ্টগুলো ফুটিয়ে তুলে, কবি কুমারখালীর বাসিন্দাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ শহরের স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

এছাড়াও, কবিতাটি চোর-ডাকাতি, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং আলেম সমাজকে দায়িত্ব দিলে সমাজে শান্তি এবং উন্নতি ফিরে আসার বিশ্বাস জাগ্রত করে। এটি শুধু একটি শহরের কষ্টের গল্প নয়, বরং সমাজের নৈতিক ও অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধেও একটি জোরালো আবেদন, যেখানে জনগণের ইচ্ছাশক্তি এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা একটি আধুনিক, সবুজ, এবং সমৃদ্ধ কুমারখালী গড়ে তুলতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url